২০১২ সালে প্রণীত সৃজনশীল শিক্ষাক্রমের আলোকে আগামী বছর থেকে পুনরায় নবম ও দশম শ্রেণিতে চালু হচ্ছে বিভাগ বিভাজন৷ অর্থাৎ, শিক্ষার্থীরা নিজেদের পছন্দ মতো বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা নিতে পারবেন।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই নতুন শিক্ষাক্রমের পরিবর্তে পুরোনো শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বুধবার (১৬ অক্টোবর) সেই নির্দেশনা আনুষ্ঠানিকভাবে সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সিদ্ধান্তের আলোকে মাউশি তাদের ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানিয়েছে।
মাউশির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে নবম শ্রেণিতে বিভাগ বিভাজন থাকবে না বলে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু গত ১ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্র অনুযায়ী, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা (২০২৬ সালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা) ২০১২ সালের জাতীয় শিক্ষাক্রমের ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হবে।
একই সঙ্গে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা বিভাজন অব্যাহত থাকবে। এ লক্ষ্যে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করা হবে, যেন শিক্ষার্থীরা এক শিক্ষাবর্ষের মধ্যে শিখন কার্যক্রম শেষ করতে পারে।
বর্তমানে নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী বিভাগ বিভাজন করতে হয়নি। সবাইকে অভিন্ন বিষয় পড়তে হচ্ছে। কিন্তু এখন যেহেতু নবম শ্রেণির শিক্ষাবর্ষ প্রায় শেষের দিকে, তাই দশম শ্রেণিতে গিয়ে তাদের বিভাগ বিভাজন হবে।
এছাড়া ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা ধারার নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের আগের মতো অর্থাৎ ২০২৩ সালের মতো শাখা বিভাজন হবে। এক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে ২০২৭ সালে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পাঠকের মতামত